
সোমবার (২৩ আগস্ট) হাজেরা বেগম জানান, তার ছেলে সোহাগকে নিখোঁজের ১৫/১৬ দিন আগে খেলার সাথীরা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তবে তিনি তাদের কারো নাম বলতে পারেননি। তারপর গত ১৫ আগষ্ট সকাল ৯টায় ছেলে সোহাগকে বাসায় রেখে তিনি হোসিয়ারী কারখানায় কাজে চলে যায়।
এদিন বেলা ১১টায় একই এলাকার প্রসেনজিত, আঃ মজিদ, বিল্পব, স্বপন ও মুন্না কৌশলে ফুসলিয়ে অপহরণ করে সদরের ডিক্রির চর গোদারাঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা করলেও পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করছেন না।
জানা গেছে, নিখোঁজের পর ফতুল্লা মডেল থানায় হাজেরা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ করেন প্রসেনজিত, আঃ মজিদ, বিল্পব, স্বপন ও মুন্না তার ছেলে সোহাগকে অপহরন করে ডিক্রির চর গুদারাঘাটে নিয়ে যায়। পরে ধলেশ্বরী নদীতে গোসলের কথা বলে নামে। এরপর থেকে তিনি তার ছেলের সন্ধান পাচ্ছেন না। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই কিশোর। তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিয়ে এ প্রসেনজিত (১৫), স্বপন (১৭) ও আঃ মজিদ (১৫) নামে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ইতি মধ্যেই আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এরা সকলেই কিশোর। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেছি। অধরা অপর দুইজনের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এটি হত্যাকান্ড কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারি ওরা গোসল করতে নেমেছে। এরপর থেকে সোহাগ নিখোঁজ। এটা হত্যাকান্ড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
ওরা আমার ছেলে সোহাগ (১২) কে নদীতে ডুবিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ছেলের লাশ চাই। আমার সোহাগকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাকে এক নজর দেখে আমি মাটি দিতে চাই।
তীব্র আর্তনাদ নিয়ে এভাবেই ছেলের খোঁজে ছেলের বন্ধুবান্ধব ও পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বামীহারা হাজেরা বেগম (৫২)
More Stories
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন!৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা
নোটিশ দিয়ে চা-রুটি-পরোটার দাম বৃদ্ধি!
চাকরি দেওয়ার নামে তরুণীকে রাতভর গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ