
বৃদ্ধ হতে চায় না কেউ। যৌবনটা যেন চিরজীবন থেকে যায় মনে মনে সেই ইচ্ছা নিয়েই আয়নার সামনে দাড়ায় প্রতিটি মানুষ। এমন কাউকেই পাওয়া যাবে না যে, যৌবন রেখে বার্ধক্যকে পছন্দ করে। বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তবে দেখা গেছে কেউ কেউ তুলনামূলক দ্রুত বুড়িয়ে যান। আবার কারও চেহারা দেখে বয়স বোঝার উপায় থাকে না। বয়সের তুলনায় চেহারায় তারুণ্যের ছাপ দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেষ্টা করলে অর্থাৎ কিছু নিয়ম মেনে চললে নিজের তারুণ্য ধরে রাখা যায়।
আমাদের ত্বকের নিচে কোলাজেন টিস্যু থাকে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেন টিস্যু কমতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। পড়ে বয়সের ছাপ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিবর্তন তো আসবেই। সেইসঙ্গে কমবে ত্বকের উজ্জ্বলতা। তবে জীবনধারা পরিবর্তন ও ঠিকমতো ঘুমালে বয়সের ছাপ বাড়ার গতি কমবে।
এজিং তো বন্ধ করার কোনো উপায় নেই, কিন্তু এটিকে আমরা কী কী উপায়ে স্লোয়ার ডাউন করে দিতে পারি? হ্যা পারি
‘স্লোয়ার ডাউন করার জন্য প্রথমে লাইফস্টাইলটা খুব জরুরি। লাইফস্টাইলের পাশাপাশি আধুনিক অনেক ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে। যেমন এটাকে আমরা তিনটা এজে ভাগ করতে পারি—কারো এজ যখন থার্টি থাকে, তখন এক ধরনের ট্রিটমেন্ট আমরা দিয়ে থাকি। যাদের এজিংয়ের সাইন কিছুটা দেখা দিয়েছে, তাঁদের পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল দিয়ে থাকি। এটা হচ্ছে যে পারসনের এজিংয়ের ছাপ এসেছে বা যে তার এজিংটা ধরে রাখতে চাই, তার বডির ব্লাড কালেক্ট করে সেটাকে আমরা সেন্ট্রিফিউজ করি।
সেন্ট্রিফিউজ করে ফেসে ইনজেক্ট করি। এতে দেখা যায় কোলাজেন টিস্যু কমে যাওয়ার জন্য যে ভাঁজগুলো ফেসে দেখা দিয়েছে, সেই ভাঁজগুলো অনেকটাই কমে যায়। আবার যাদের বয়স থার্টি ফাইভ ক্রস করেছে, তাদের ক্ষেত্রে রিঙ্কলসের জন্য আমরা একটা ট্রিটমেন্ট করি, এটাকে আমরা বলি বোটক্স। ’
‘বোটক্স সম্পর্কে এখন সবাই কমবেশি জানে। বোটক্স হচ্ছে পিউরিফায়েড প্রোটিন, যেটা ইনস্ট্যান্টলি যে রিঙ্কলসগুলো আছে, তা দূর করে দেবে। বোটক্সের আরেকটি বেনেফিশিয়াল সাইড হচ্ছে, পারমানেন্ট যে রিঙ্কলস আসে, সেটাকে প্রিভেন্ট করে। এরপর যাঁরা ফোরটি ক্রস করেছে, যাদের রিঙ্কলস খুব বেশি বা ডিপ হয়ে গেছে, যারা ফেসটাকে অনেক বেশি ড্যামেজ করে ফেলেছে, তাঁদের জন্য রয়েছে অন্য এক প্রসিডিউর, যাকে আমরা বলি ফিলার।
ফিলারের সাহায্যে অনলি থার্টি মিনিটসে রিঙ্কলস দূর করা যায়। এটা ইনজেক্টেবল প্রসিডিউর।
More Stories
উদোম গায়ে টিকা দিচ্ছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো এভাবে নকল করা হয়, সরবরাহ গ্রামাঞ্চলে বেশি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০০ পরিত্যক্ত।