
চলচ্চিত্রের আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করতেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার সঙ্গে এক নারী ও কস্টিউম ডিজাইনার জিমিও সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ। মাদক মামলায় চারদিনের জিজ্ঞাসাবাদে এখন গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজন। এই মামলা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চলচ্চিত্র সমিতির নেতারা বলছেন, ব্যক্তির অপকর্মের দায়ভার শিল্পী সমিতি নেবে না।
একে একে বেরিয়ে আসছে চিত্রনায়িকা পরীমনির অবৈধ ব্যবসার প্রমাণ।
বুধবার হঠাৎ পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য জব্ধ করা হয়। ওইদিনই প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযানেও মেলে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।
এ ঘটনায় পরীমণি ও রাজসহ তাদের দুই সহযোগিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালত চারজনকে চারদিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে অনুমতি দেয়।
গোয়েন্দারা বলছেন, অনেকেরই নাম বেরিয়ে আসছে তদন্তে। চলচ্চিত্র জগতের আলোচিত ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে কি তথ্য দিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার দুপুরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, অন্ধকার জগতের পেছনে কারা রয়েছে তাদের নাম জানা গেছে। পরীমণির সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাব বলছে, প্রযোজক রাজ তথাকথিত মডেলদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করাতো তা স্বীকার করেছেন। সব তথ্যই যাচাই বাছিই করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, কোন শিল্পীর ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সমিতি নেবে না।
চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজের মামলা পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
More Stories
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন!৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা
পদ্মা সেতু চালু হবে এ বছরের জুনেই
বাংলাদেশের পরিণতি শ্রীলংকার মতো হতে পারে ? জবাবে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী