
বরিশাল ব্যুরো
২২ জুলাই ২০২১, ০২:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নতুন করে ১৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮১২ জনে।
পাশাপাশি একই সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশালে ১ জন, পটুয়াখালীতে ১ জন, ভোলায় ১ জন, পিরোজপুরে ২ জন এবং বরগুনায় ৩ জনসহ মোট ৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪০৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৮১২ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৩৮ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন ৯৭ জন নিয়ে মোট ১১ হাজার ৮৪৪ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ২ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৪৩৪ জন, ভোলা জেলায় নতুন ২০ জনসহ মোট ২ হাজার ৭৭৭ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ২১ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮৪৬ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৯ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮৩ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন শনাক্ত না থাকায়, মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫২৮ জন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয়জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৬৯৬ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৬৯৬ জনের মধ্যে ৫৯ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৮ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৬ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৬৬ জন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১৬৬ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১০০ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫২.৬৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
More Stories
উদোম গায়ে টিকা দিচ্ছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো এভাবে নকল করা হয়, সরবরাহ গ্রামাঞ্চলে বেশি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০০ পরিত্যক্ত।