
বাংলাদেশের ২৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছে। যাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রক্তচাপ মাপেন না। মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপের রোগী স্বীকৃত অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। ২৬ শতাংশ চিকিৎসাকৃত রোগীরা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ চালিয়ে যান না। রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে একটি বেসরকারি সংস্থার অসংক্রামক রোগের গবেষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার অসংক্রামক রোগের তিনটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স যৌথভাবে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। গবেষণাপত্র তিনটির মধ্যে রয়েছে অসংক্রামক রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রতিবন্ধী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা।
অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের অধ্যাপক ডা. মিথিলা ফারুক। তার গবেষণা পত্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যার মধ্যে ৫৬ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নেয় না। এশিয়ার মধ্যে প্রাপ্ত গবেষণায় দেখানো হয়েছে- উচ্চ রক্তচাপ এশিয়া জনগোষ্ঠীর হৃদরোগ ও মূত্রাশয়ের রোগগুলোর অন্যতম প্রধান ঝুঁকি।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে ৪৫ শতাংশ মৃত্যু হৃদরোগে এবং ৫১ শতাংশ স্ট্রোক হয়ে থাকে, যা কিনা বিশ্বের ৯৪ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এ কে এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। অন্য গবেষণাপত্র দুটি উপস্থাপন করেন, সিআইপিআরবি’র পরিচালক (আইডিআরসি-বি) ডা. আমিনুর রহমান ও সিআইপিআরবি’র পরিচালক (পাবলিক হেলথ সার্ভিস) ডা. সাইদুর রহমান মাশরেকী
More Stories
উদোম গায়ে টিকা দিচ্ছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো এভাবে নকল করা হয়, সরবরাহ গ্রামাঞ্চলে বেশি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০০ পরিত্যক্ত।