
কর্মদিবসগুলোতে সরগরম থাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতপাড়া। বাদী, বিবাদী, পুলিশ, আইনজীবীসহ লোকজনের ভিড়ের কারণে অনেক সময় পা ফেলাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায়। এর মধ্যেই আবার সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাইরে পোড়ানো হয় গাঁজা। মাদক পোড়ানোর ধোঁয়ায় অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে ঢাকার আদালতপাড়া ও এর আশপাশ এলাকায়। সেজন্য গাঁজা ধ্বংসে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন গাঁজাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করে। কিছু নমুনা রেখে বাকি মাদক একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাইরে ধ্বংস করা হয়। প্রতি সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুপুরের পর গাঁজা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এ কার্যক্রম। তখন সিএমএম আদালতের আশপাশ ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এসময় অনেককে নাকে-মুখে হাত দিয়ে ওই এলাকা ছাড়তে দেখা যায়। অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এখানে এভাবে গাঁজা পোড়ানোর কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ও ইনসিনারেটর (মাদক ধ্বংস করার মেশিন) না থাকার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গাঁজার ধোঁয়ার কারণে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীসহ সবার চলাফেরায় ভোগান্তির কথাও স্বীকার করেন তারা।
প্রয়োজন ইনসিনারেটর
গাঁজা পোড়ানোর ধোঁয়া থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চাইলে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) কায়সারুল ইসলাম বলেন, আদালত চত্বরে মাদক ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এছাড়া আমরা সরকারের কাছে ইনসিনারেটর মেশিনের জন্য আবেদন করেছি, তা প্রক্রিয়াধীন। ইনসিনারেটরের মাধ্যমে গাঁজা পোড়ালে এর ধোঁয়া অনেক উপরে উঠে যায়। তখন মানুষের আর কষ্ট হবে না।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদালত চত্বর এলাকায় মাদক ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এর বিকল্প ইনসিনারেটর মেশিন বসালে মানুষ এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। আমরা ঢাকা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয় সরকারের শুভদৃষ্টি কামনা করছি।
More Stories
২ ফুট ৬ ইঞ্চির জিহাদ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
মোহাম্মদপুরে মধ্য রাতে যুবককে ছুরি মেরে হত্যা
দুই বাসের রেষারেষি, মাঝে পড়ে প্রাণ গেল কিশোরের